জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিস্ময়কর আবিষ্কার!
প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা বিশাল তারার ভেতরে লুকানো ব্ল্যাক হোল (Black Hole) খুঁজে পেয়েছেন — যা মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
গবেষকদের মতে, কিছু বিশাল তারা (Giant Star) আসলে ব্ল্যাক হোলকে ঘিরে গঠিত হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাটি এত বড় হয় যে, সেটি নিজের ভেতরেই ব্ল্যাক হোলকে ঢেকে ফেলে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো — ব্ল্যাক হোল ধ্বংস না হয়ে, বরং সেই তারার উপাদান শোষণ করে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এটাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন এক ধরনের “Cosmic Nesting Doll” — যেখানে এক তারার ভেতরে আরেকটি রহস্যময় জগত লুকিয়ে আছে।
এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করছে কেন কিছু তারা হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ করে বা কেন কিছু ব্ল্যাক হোল এত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি ভবিষ্যতে তারার জীবনচক্র ও ব্ল্যাক হোলের গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
ব্ল্যাক হোল কী?
ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটি মহাজাগতিক বস্তু, যার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই প্রবল যে আলো পর্যন্ত সেখান থেকে পালাতে পারে না। এটি সাধারণত তখন সৃষ্টি হয়, যখন একটি বৃহৎ তারা জীবনের শেষ পর্যায়ে বিস্ফোরিত (Supernova) হয়ে নিজের ওজনের চাপে ভেঙে পড়ে এবং এক বিন্দুতে সংকুচিত হয়। ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রকে বলা হয় Singularity, আর এর চারপাশের সীমা হলো Event Horizon, যার ভেতরে প্রবেশ করলে আর কিছুই ফিরে আসতে পারে না।
এ আবিষ্কার কোথায় হয়েছে?
এই গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের ও ইউরোপের একাধিক গবেষক দলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তারা James Webb Space Telescope (JWST) এর তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন প্রমাণ পেয়েছেন যে কিছু বিশাল তারার ভেতরেই ব্ল্যাক হোল লুকিয়ে থাকতে পারে। এগুলোকে তারা বলছেন নতুন এক শ্রেণির মহাজাগতিক বস্তু — “Black Hole Stars” (ব্লাকহোল স্টার)।