Home / জাতীয় / গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে এই ৫ অভ্যাস

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে এই ৫ অভ্যাস

ভাজাপোড়া কিংবা তেল-চর্বিজাতীয় খাবার খেলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়েছবি: পেক্সেলস

সূচীপত্র

এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা কেবল নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ সেবনের কারণে আয়রনের অভাবে ভোগেন। এ ছাড়া ক্রমাগত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যা মেটাতে তাই জীবনধারায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা ভালো।

অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কথ্য ভাষায় আমরা অনেক সময় যাকে বলি ‘গ্যাস্ট্রিক’। প্রয়োজন অনুভব করলেই গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অথচ আপাতদৃষ্টে সাধারণ এসব ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে আপনি পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

অ্যাসিডিটির সমস্যা মেটাতে জীবনধারায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনা খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারলে আপনি তাতে স্বস্তিই পাবেন। জীবনধারার এমন কিছু দিক সম্পর্কে জানালেন ঢাকার ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান

নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন

রাত জাগবেন না। তাতে মাঝরাতে খাবার গ্রহণের প্রবল ইচ্ছা হতে পারে, যা সংবরণ করা কঠিন। মাঝরাতে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ পর ঘুমালে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

আবার বেশ বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে নিয়ে সকালের নাশতা বাদ দেন অনেকে। এ অভ্যাসও বর্জন করুন। মনের চাপে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। অন্যান্য ব্যায়ামও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

শরীরচর্চা করলে হজমপ্রক্রিয়াও চলে ঠিকঠাক। কিছুটা কায়িক শ্রম না করলে বাড়ে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি। শরীরচর্চা করলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে।

খাওয়ার পর এসব কাজ নয়

খাওয়ার পরপরই শোবেন না, করবেন না ভারী ব্যায়ামও। শোয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খাওয়াদাওয়ার পর্ব সেরে নিন। ভারী ব্যায়াম করতে হলে খাওয়ার পর অন্তত দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। অবশ্য খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক মৃদুগতিতে হাঁটা ভালো অভ্যাস।

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন

ভাজাপোড়া কিংবা তেল-চর্বিজাতীয় খাবার খেলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে। অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে টক ফল ও টক স্বাদের অন্যান্য খাবার কম খাবেন। বিশেষ করে খালি পেটে টক খাবার বা টক স্বাদের পানীয় না খাওয়াই ভালো।

অনেকে লেবুপানি দিয়ে সকালটা শুরু করতে চান, কিন্তু খালি পেটে লেবুপানি খেলে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি। ভিনেগার, সস বা কেচাপ খেলেও সমস্যা বাড়তে পারে। দুধ বা দুধজাতীয় খাবারেও কারও কারও সমস্যা হয়।

পেঁয়াজ, রসুন, চা-কফি, চকলেট খেলেও কেউ কেউ এমন সমস্যায় ভুগতে পারেন। কোমল পানীয় হজম সহায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হলেও অনেকেরই এই পানীয়ে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে।

খাবারের আঁশ স্বাস্থ্যকর হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আঁশসমৃদ্ধ খাবার অ্যাসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ আঁশ না গ্রহণ করাই ভালো।

খাবার ও পানীয়

খাবার ও পানীয় একসঙ্গে গ্রহণ করবেন না। খাওয়ার সময়ই পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। এ অভ্যাসই অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। খাবার ও যেকোনো তরল গ্রহণের মাঝখানে অবশ্যই অন্তত পনেরো-কুড়ি মিনিটের ব্যবধান রাখুন।

পানি, উদ্ভিজ্জ দুধ এবং পানসে বা মিষ্টি স্বাদের ফলের রস অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। তবে এসব পানীয়ও খাবেন যেকোনো খাবার খাওয়ার অন্তত পনেরো-কুড়ি মিনিট আগে বা পরে। যেকোনো একবেলায় খাবার খাওয়ার পনেরো-কুড়ি মিনিট পর আদা চা বা ক্যামোমিল চা খাওয়াও ভালো অভ্যাস।

ধীরেসুস্থে, চিবিয়ে খান

দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকবেন না। অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের চর্চা করেন। ওজন কমাতে সহায়ক হলেও এ পদ্ধতিতে লম্বা সময় না খেয়ে থাকার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। একবারে খুব বেশি পরিমাণ খাবার খাবেন না।

পেটের কিছু অংশ খালি রেখেই খান। প্রয়োজনে কিছু সময় পর আবার হালকা খাবার খান। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। ধীরেসুস্থে, চিবিয়ে খাবার খান। পানীয়ও খাবেন ধীরে ধীরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত খবর

সম্প্রতি ছাড়া খবর

জাতীয়
bloguser

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে এই ৫ অভ্যাস

এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা কেবল নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ সেবনের কারণে আয়রনের অভাবে ভোগেন। এ ছাড়া ক্রমাগত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। অ্যাসিডিটির

বিস্তারিত পড়ুন...

বিজ্ঞাপন

আমাকে খুজুন

গরম খবর